শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
ব্রাম্মনবাড়িয়ায় লকডাউন ভেঙে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল!

ব্রাম্মনবাড়িয়ায় লকডাউন ভেঙে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল!

দখিনের খবর ডেক্স ॥ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জেলার লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাখো মানুষের জমায়েত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। খ্যাতিমান ইসলামী আলোচক ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়লো।

শনিবার সকালে জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়তলা মাদ্রাসায় আসতে থাকে লোকজন। পরে সকাল ১০টার দিকে জানাজা শুরু হয়। মাদ্রাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায় মানুষ। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত, অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে মানুষের ঢল। এছাড়া ওই এলাকার আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে সেখানে কিছু পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন এক রকম নীরব দর্শক। গত শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লকডাউন চলছে। বিষয়টি জানতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘বর্তমান করোনাভাইরাসের কারণে দুই জনের বেশি লোকসমাগম নিষিদ্ধ। সেখানে হাজারও বা লাখো লোকসমাগম হওয়াটা জনস্বার্থের পরিপন্থী। ঘটনাটি বিব্রতকর ও বেদনাদায়ক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ দিয়ে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মোটেও সম্ভব ছিল না।’

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু সাংবাদিকদের কাছে লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোকসমাগম হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’ তবে তিনি দাবি করেন, বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ায়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘যেখানে করোনা ঝুঁকির কারণে একসঙ্গে মসজিদে নামাজ আদায় না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কীভাবে এতো লোকসমাগম হলো তা বোধগম্য নয়। এই লোকসমাগমের কারণে করোনা ঝুঁকির আশঙ্কা তো থেকেই যায়।’

এদিকে জনসমাগমের ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএস মুছার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘এক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নাই। জেলার ওপর মহল থেকে বক্তব্য নিন।’

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘সকাল থেকে বেড়তলা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। আমাদের পক্ষ থেকে ওনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য। এ নিয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। কিন্তু আমরা শেষ চেষ্টা করেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারিনি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘উনারা (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ) আমাদের বলেছিলেন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন। কিন্তু সেটা তারা কেন করেননি তা খতিয়ে দেখা হবে।’

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাওলানা জোবায়ের আহমেদ আনসারী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। জোবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়া তিনি একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামি আলোচক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল। শনিবার দুপুরে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘মরহুমের জানাজা তার প্রতিষ্ঠিত জামিআ রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসার পাশে ঈদগাহ মাঠে শনবিার  সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে হাফেজ আসাদুল্লাহ আনসারী।’

তিনি জানান, জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ইসমাঈল নূরপুরী, নায়েবে আমির মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনাঈদ আল হাবীব, বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, জামিআ ইউনুছিয়ার মুহতামিম মাওলানা মোবারক উল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, রাবেতাতুল ওয়াজিনের উপদেষ্টা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জামিল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বি-বাড়িয়া জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খন্দকার মঈনুল ইসলামসহ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক নেতারা। তিনি বলেন, জানাজায় বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার আলেম উলামা ও তার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হন। জানাজা শেষে মরহুমের লাশ তারই প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com